উনিষা

 উনিষা, তুই কি শুনিস রাতের কান্না?

জোনাকির আলোয় ভেজা মনখানা?
তোর নামটা যেন চুপি চুপি বলে,
আমার একাকীত্ব, আমার ভাঙা তালে।

তোর চোখে ছিল এক নদীর শান্তি,
যেমন ছেয়ে থাকে কুয়াশা রাতি।
তুই হেসেছিলি, আমি হারিয়ে গেছি,
সেই হাসির নিচে জমে আছে যা বলিনি।

উনিষা, তোর পায়ে ছিল কবিতার ছন্দ,
তুই চলে গেলে পড়ে রইল নিঃস্ব বন্ধ।
পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় লিখি তোর নাম,
কিন্তু কাগজ বোঝে না আমার অভিমান।

তুই কি জানিস—
এই শহর এখন আর আগের মত নয়,
তোর ছায়া ছাড়া সব কিছুই যেন ক্ষয়।
আমি লিখি, তবু কণ্ঠে ওঠে না গান,
উনিষা, তুই ছাড়া কোথাও নেই কোনো জান।

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

তুমির অভাবে

  প্রমি, তুমি চলে গেলে, হাওয়ার মাঝে হারিয়ে গেলো তোমার হাসি। তোমার চোখের দীপ্তি, আজ কেবল স্মৃতি হয়ে রয়ে গেছে, নিঃসঙ্গ রাতে। যতবার আমি তোমার কথা ভাবি, প্রতিটি শব্দ যেন এক একটি ক্ষত, তুমি ছিলে যে নক্ষত্র, আজ সেই আকাশে তুমিই নেই। বৃষ্টির মতো ঝরে যায় তোমার ছবি, যেখানে ছিল তোমার নাম, সেখানে এখন সুনসান, তুমি তো চলে গেছ, প্রমি, কিন্তু তোমার পদচিহ্ন এখনো বাঁচে আমার মনোরথে। তোমার স্মৃতি এখন কালো মেঘের মতো, যতক্ষণ দেখা যায়, ততক্ষণ অন্ধকার ছড়িয়ে যায়। তুমি কোথায়, প্রমি? তোমার শূন্যতা এখন আমার সঙ্গী, এক গভীর নিঃসঙ্গতা। প্রমি, তুমি জানো না, তুমি চলে গেলেই, পৃথিবী থেমে গেছে, তোমার গানের সুরে আমার হৃদয় বাঁধা ছিল, তবে এখন, সেদিনের সুরে চুপ থাকা ছাড়া কিছু নেই।
Read more

হতে চাই জামাই

  তোমাকে দেখার সেকি তীব্র  তৃষ্ণা পা চশত মাইল  গাড়ি  চালিয়ে আসা শু ধু  একবার দেখবার জন্য তোমার সেই আলোকিত  চাঁদ মুখ, তোমাকে দেখার পর হারিয়ে যায় জীবনের গ্লানিবোধটুকু আর হতাশা বিতৃষ্ণা শুধুই অনুভব  হয় হৃদয় স্পন্দনে আলতো সুখ উফফ সেকি অনুভূতি  প্রকাশে লেগে যাবে অর্ধযুগ তোমার ঘামে বৃষ্টি ভেজা শরীরে জাগে না মনে কামরোগ। সময়ের চাবি তোমাকে দেখলেই হয় স্থবির, তোমাকে দেখলেই প্রিয়তমা মনে লেগে যায় আলতো বসন্তের আবীর। তোমার তুলনা তুমি নিজেই, তোমার চোখদুটি যেন সাগর, তোমাকে দেখলেই ভদ্রহয়ে যায় উত্তর  পাড়ার বাদর। তোমার হাতে হাত রাখা যেন গরমের তীব্র  গরমের শরবত, তুমি সাথে থাকলেই খোদা আমাকে  ছড়িয়ে দেয় আরো রহমত। তোমাকে দেখার ইচ্ছে থাকুক না আমমরণ তোমার অর্ধাংগ হিসেবে করে নাও নাগো রুপসী আমায় বরণ।
Read more

সিনথিয়া ভালো নেই

  অধ্যায় ১: প্রথম দেখা আকাশটা সেদিন ঠিক যেন সিনথিয়ার মনের মতো—একটু রূপালি, একটু নীল, আর অনেকটা একা। বিকেল নামতে শুরু করেছে। ধুলোবালি ভেজা হাওয়া এসে শহরের ক্লান্তিকে একটু শান্তি দিচ্ছে। রাস্তার মোড়ে একটা পুরনো বাসস্ট্যান্ড, তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল সিনথিয়া—ছাতা ছাড়াই, ভেজা চুলে। কেউ তাকিয়ে থাকলে ভাবত, মেয়েটা হয়তো ভুলে গেছে ছাতা আনতে। কিন্তু সে ইচ্ছে করেই ভিজছিল। তার কাঁধে একটা স্লিং ব্যাগ, চোখে অদ্ভুত এক শান্ত বিষণ্ণতা। হঠাৎ একটা গাড়ির শব্দের সঙ্গে সঙ্গেই ছেলেটি এল— ভেজা চুল, কাঁধে একটা পুরনো ক্যামেরা, আর হাতে একখানা ছাতা। সেই প্রথমবার কাব্যকে দেখে সিনথিয়ার মনে হয়েছিল—এই ছেলেটার ভেতরেও হয়তো বৃষ্টি জমে আছে, অনেকদিন ধরে। — “তোমার ছাতা নেই?” কাব্য জিজ্ঞেস করেছিল খুব স্বাভাবিকভাবে, যেন চিনত অনেককাল। সিনথিয়া হেসে বলেছিল, — “ছাতা থাকলে এই বৃষ্টির ঘ্রাণ পেতাম না।” কাব্য কিছু বলেনি। শুধু ছাতাটা এগিয়ে দিয়েছিল তার দিকে। সিনথিয়া নিয়েছিল না। সে বলেছিল, — “আমার ভিজে থাকাটাই দরকার ছিল আজ।” সেদিন তারা একসাথে খুব কম কথা বলেছিল, কিন্তু সেই কম কথার ভেতরেই গেঁথে গিয়েছিল অনেক কিছু। বাস এলো, কাব্য উঠলো না।...
Read more